আপনার প্রয়োজনে প্রতিদিন, ২৪ ঘন্টা
আমাদের কাছেই আছে আপনার মাথার সঠিক চিকিৎসা

আমরাই টাংগাইল জেলার প্রথম আন্তর্জাতিক মানের হসপিটাল। এখনই আমাদের নিউরোলজি বিশেষজ্ঞকে সিরিয়াল দিন।

নিউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ কি? কেন এবং কখন দেখাবেন?
নিউরোলজিস্টঃ নিউরোলজিস্ট একজন বিশেষজ্ঞ যিনি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের রোগ (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র), পেরিফেরাল স্নায়ু (ফুসফুসের বা লিভারের মতো অঙ্গ, মস্তিষ্কের সাথে মেরুদণ্ড এবং মেরুদণ্ড সংযোগকারী স্নায়ু) এবং পেশীগুলিতে রোগের চিকিৎসা করেন। স্নায়বিক রোগের মাঝে রয়েছে, মাথা ব্যাথা, মৃগীরোগ, স্ট্রোক, মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার, যেমন কম্পন বা পার্কিনসন রোগ ইত্যাদি।
কী কী হলে একজন নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হবেনঃ
মাথাব্যাথায় আমরা কমবেশি সকলেই ভুগী। মাথাব্যাথা সাধারণত সাইনাসের ভেতর দিয়ে ঘাড়, কাঁধের পেশী, কপালে এবং মস্তিষ্কের ভেতর দিয়ে, মাথার উপরের অংশে পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। মাথাব্যাথা সাইনাস ইনফেকশন থেকে শুরু করে সামান্য দাঁতে ব্যাথা থেকেও হতে পারে। মাথাব্যাথা যেমন সাধারণ হতে পারে তেমনি এর থেকে মাইগ্রেরিনসহ আরও গুরুতর অসুখ হতে পারে যেমন বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি। মাথাব্যাথা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং সহ্যের বাইরে চলে যায় তবে বিলম্ব না করে নিউরোলজিস্ট দেখানো উচিৎ।
👉২। #মাথা ঘোরানো
মাথা ঘোরানো থেকে অনেক সময় ভার্টিগো এবং ভারসাম্যহীনতা আসতে পারে। ভার্টিগো হলে আপনার মনে হবে যে, আপনার আশেপাশে সবকিছু ঘুরছে। মাথা ঘোরানো যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত মনে হয় তবে নিউরোলজিস্টের কাছে যেতে হবে।
👉৩। #অসাড়তা ও অস্বস্তিকর অনুভূতি।
মাথায় আঘাত, বেকায়দায় বসা বা শোয়া এবং অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকলে তা থেকে শরীরের কোনো একপাশে অসাড়তা বা অস্বস্তিকর অনুভুতির সৃষ্টি হতে পারে। অসাড়তা খুব বেশিক্ষন স্থায়ী হলে নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে। অনেকসময় অসাড়তা স্ট্রোকএর উপসর্গ হয়। এমনটা মনে হলে যতদ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
দূর্বলতা হচ্ছে যখন সাধারণ একটা কাজ করার জন্য আপনার পেশীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী চাপ প্রয়োগ করতে হয়। এমনটা মূলত অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম করলে হয় কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই অনেকদিন ধরে হলে নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে। এধরণের দূর্বলতা থেকেই বড় বড় নার্ভের অসুখ এবং স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।
👉৫। #চলাফেরায় সমস্যা
কোনো কারণ ছাড়াই চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি হলে, কোনো অঙ্গ ভীষণভাবে কাঁপলে, বারবার হঠাৎ করেই শরীরে ঝাঁকুনি অনুভূত হলে তা নিউরোলজিক সমস্যা বলে বিবেচনা করা হয়।
হঠাৎ করে খিঁচুনি উঠলে শরীরে বারবার ঝাঁকুনি লাগবে, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হবে এবং অনেক সময় জ্ঞানও হারিয়ে যেতে পারে। খিঁচুনি অনেক সময় লো ব্লাড সুগারের কারণেও হয়ে থাকে। এ কারণে সব ঠিক থাকা সত্ত্বেও খিঁচুনি উঠলে নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।
👉৭। #স্মৃতিশক্তি হ্রাস
অহরহ জিনিষপত্র ভুলে যাওয়া, কথা বলতে গেলে আটকে যাওয়া, অকারণেই দ্বিধাদ্বন্দে ভোগা ইত্যাদি মস্তিষ্ট, স্নায়ু এবং মেরুদন্ডের ব্যাধির কারণে হয় যা থেকে আলঝেইমারের মত অসুখও হতে পারে। একারণে এই কয়টা উপসর্গ খুব করে ধরা পরলে নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে।
👉৮। #ঘুমানোর সমস্যা
ইনসোমনিয়া, দুশ্চিন্তায় ঘুম না হওয়া, বারবার দুঃস্বপ্ন দেখা ইত্যাদি নিউরোলজিক সমস্যার কারণে হতে পারে।
নিউরোলজিকাল যেই সমস্যাগুলোর কথা বলা হয়েছে তা আমাদের সাথে অহরহ হয়ে থাকে। একারণেই উপরোক্ত কোনো সমস্যা খুব বেশী পরিমাণে হলেই নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে। সহনীয় মাত্রায় হলে আপনার রেগুলার ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই শ্রেয়, প্রয়োজনবোধে তিনিই নিউরোলজিস্ট দেখাতে বলবেন।
আমাদের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সমূহঃ
ডাঃ ফারহানা মোসলেহউদ্দীন

ডাঃ ফারহানা মোসলেহউদ্দীন

এমবিবিএস , এমআরসিপি (ইউকে) এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি) , সহকারী অধ্যাপক , নিউরোলজই বিভাগ , শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টাংগাইল